ঢাকা বুধবার, ১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বাংলাঃ ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঢাকা বুধবার, ১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বাংলাঃ ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আরবীঃ ২৩শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
  1. Lead1
  2. Lead2
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. কর্পোরেট নিউজ
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. চিকিৎসা
  10. চিত্র বিচিত্র
  11. পরবাস
  12. বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি
  13. বিজ্ঞাপন বার্তা
  14. বিনোদন
  15. রাজনীতি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তোমার পথ চেয়ে আছি বাবা, তুমি ফিরে এসো-একজন সন্তানের নিঃশব্দ আর্তনাদ

মোঃ সোহেল রানা, রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান:
প্রকাশিত: ২:০৩ অপরাহ্ণ, ১৯ জুলাই ২০২৫
Link Copied!

মোঃ সোহেল রানা, রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান:

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ৪নং দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়নের ক্ষিদ্র লক্ষ্মীপুর গ্রামের এক সাংবাদিকের জীবনে নেমে এসেছে দীর্ঘ ছায়া। ছয় বছর ধরে নিখোঁজ তাঁর প্রিয় পিতা, অথচ আজও তার প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় চোখে জল ধরে রেখেছেন সেই সন্তান। দৈনিক উপচার পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার এবং জাতীয় সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রা পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধিঃ ও যমুনা প্রতিদিন অনলাইন স্টাফ রিপোর্টারঃ সাংবাদিক মোঃ মনিরুল ইসলাম-যার বাবার সন্ধান আজও মেলেনি।

সাংবাদিক মনিরুল ইসলামের বাবা মাওলানা আতাউর রহমান (আক্তার) ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল, করোনাকালীন সময়ে সারাদেশে চলমান লকডাউনের এক সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরিবার ধারণাও করতে পারেনি যে, সেটিই হতে পারে তার শেষ দেখা। সকাল ৮টার দিকে তিনি বাড়ি ছাড়েন—এরপর দীর্ঘ ছয় বছর কেটে গেলেও তার কোনো খোঁজ মেলেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাওলানা আতাউর রহমান (আক্তার) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় দুই দশক ধরে ইমামতি করেছেন। তিনি শিবগঞ্জ, কানসাট, রহনপুর, আমনুরা, গোদাগাড়ীসহ নানা এলাকায় মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বক্তব্য দিতেন। ধর্মীয় আলোচনায় তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল প্রশংসনীয়। জীবনের শেষ দিকে কিছুটা মানসিক উদ্বেগে ভুগছিলেন বলেও পরিবার জানিয়েছে।

নিখোঁজের সময় তার বয়স ছিল আনুমানিক ৫৫ বছর। গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামলা, মুখমণ্ডল গোলাকার, উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি, পরনে ছিল চকলেট রঙের পাঞ্জাবি ও চেক লুঙ্গি। ডান গালের ওপরে একটি আঁচিলের দাগ ছিল এবং মুখে হালকা চাপ দাড়ি। তিনি রাজশাহী আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতেন।

তাঁর স্ত্রী মোছাঃ মনোয়ারা বেগম দুর্গাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। মাইকিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পোস্টার, বিজ্ঞপ্তি—সবই করা হয়েছে। তবুও আজও তিনি নিখোঁজ। দেশের প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি সংবাদপত্র ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর খোঁজে, কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি।

সাংবাদিক মনিরুল ইসলামের প্রশ্ন—যদি তাঁর পিতা মারা গিয়ে থাকেন, তবে তাঁর মৃতদেহ কোথায়? আর যদি তিনি জীবিত থাকেন, তাহলে এত বছরেও তিনি কোথায় আছেন? একবার কি তিনি বুঝতে পারেননি যে কেউ তাঁর জন্য আজও পথ চেয়ে বসে আছে? এ প্রশ্নগুলো আজও জ্বালা হয়ে পোড়ায় মনিরুলের পরিবারকে।

বাবার জন্য সাংবাদিক মনিরুল ইসলামের প্রার্থনা আল্লাহর কাছে প্রতিদিন হাত তুলে দোয়া করি, যেনো আমার বাবা আমাদের মাঝে ফিরে আসেন। মহান আল্লাহ তো সবই পারেন, তিনি চাইলে আমার বাবাকেও ফিরিয়ে দিতে পারেন। দেশবাসীর কাছে অনুরোধ—আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।”

একজন সন্তানের দীর্ঘ ছয় বছরের অপেক্ষা, বুকের ভেতর জমে থাকা শূন্যতা, আর দিন রাতের প্রার্থনা—সমস্ত কিছুর কেন্দ্রবিন্দু একজন পিতা। সেই পিতা আজ কোথায়? পরিবারটির এখনো একটাই চাওয়া—যদি জীবিত থাকেন, খোঁজ মিলুক; আর যদি না থাকেন, অন্তত তার নিশ্চয়তা মিলুক।

আরও পড়ুন

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।