ঢাকা বুধবার, ১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বাংলাঃ ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঢাকা বুধবার, ১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বাংলাঃ ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আরবীঃ ২৩শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
  1. Lead1
  2. Lead2
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. কর্পোরেট নিউজ
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. চিকিৎসা
  10. চিত্র বিচিত্র
  11. পরবাস
  12. বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি
  13. বিজ্ঞাপন বার্তা
  14. বিনোদন
  15. রাজনীতি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পাহাড়চূড়াতেই সমাহিত লাশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:২২ অপরাহ্ণ, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Link Copied!

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত অনেক মানুষের মরদেহ পাহাড়চূড়াতেই দাফন করতে হয়েছে। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল হওয়ায় মৃতদেহগুলো নিচে নামানো সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

গত রোববার (৩১ আগস্ট) গভীর রাতে আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কুনার প্রদেশে ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। মাঝারি মাত্রার এই ভূমিকম্পে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে। এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪১১ জন নিহত এবং ৩ হাজার ১২৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এখনও অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে। ভূমিকম্পের তিন দিন পার হলেও দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারেননি। ফলে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে।

কুনারের নুরগাল জেলার স্থানীয় কর্মকর্তা ইজাজ উলহাক ইয়াদ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) এএফপিকে জানান, বহু মানুষ ঘরের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন, কিন্তু উদ্ধারকাজ অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক গ্রামে এখনও সরকারি সহায়তাও পৌঁছায়নি।

এর মধ্যে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ওই অঞ্চলে আবারও ৫.২ মাত্রার আফটারশক আঘাত হানে। স্থানীয়রা খালি হাতে ধসে পড়া ভবনের নিচ থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন।

বিবিসির সাংবাদিক ইয়ামা বারিজ দেবগুল উপত্যকায় গিয়ে স্থানীয়দের অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করেন। সেখানে কিছু মানুষ ভূমিকম্পে নিহত হয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, দুর্গম অবস্থার কারণে নিহতদের মরদেহ সমতলে আনা যায়নি। তাই পাহাড়ের চূড়াতেই কবর খোঁড়া হয়েছে। নাসরাল্লাহ খান নামে এক বাসিন্দা রয়টার্সকে জানান, তিনি নিজ হাতে পাঁচটি মরদেহ দাফন করেছেন—এর মধ্যে তিনটি শিশু ও দুজন যুবক।

কুনার শহরে একটি অফিসে চাকরির পাশাপাশি নাসরাল্লাহ উদ্ধারকাজে সহায়তা করতে ছয় ঘণ্টার পথ অতিক্রম করে দেবাগুল উপত্যকায় যান। তিনি বলেন, “এখানে এসে প্রথম যে ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হলো, তিনি তার পরিবারের ১৮ জনকে হারিয়েছেন। আহত ও মৃতরা মাটিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল, তাদের দাফনে সাহায্য করার মতো কেউ ছিল না।”

নাসরাল্লাহ আরও জানান, অনেক গ্রামে মাত্র দুই থেকে তিনজন মানুষ বেঁচে আছে, বাকিরা সবাই নিহত হয়েছে। জীবনে প্রথমবার এত মরদেহ একসঙ্গে দেখেছেন তিনি। সবগুলো বাড়িঘর মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

তার ভাষায়, স্থানীয়রা মাটির ইটের ঘর ধ্বসে যাওয়ার পর মৃতদেহগুলো কম্বলে জড়িয়ে বাঁশের তৈরি স্ট্রেচারে বহন করছেন। পাহাড়চূড়াতেই কোদাল দিয়ে কবর খনন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “এ দৃশ্যের চেয়ে ভয়াবহ আর কিছু হতে পারে না।” তিন দিনে অন্তত তিনটি গ্রামে গিয়ে প্রায় ৪১টি মরদেহ দাফনে সহায়তা করেছেন তিনি। তবে আফটারশকের আতঙ্কে অনেক লাশ দ্রুততার সঙ্গে দাফন করতে হয়েছে।

আরও পড়ুন

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।