নারায়ণগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দর কয়লাঘাট নির্মাণাধীন শীতলক্ষ্যা ব্রিজ এলাকায় লঞ্চ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থল থেকে এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এছাড়া আহত অবস্থায় ১১ জনকে উদ্ধার করে হাসাপাতলে প্রেরণ করা হয়েছে। রাত সাড়ে ৮ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ তৎপর হতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
তথ্যটি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিটিআই এর ট্রাফিক পরিদর্শক বাবু লাল জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ স্টেশন থেকে এম বি হাবিব আল হাসান নামে লঞ্চটি বন্দর কালুঘাট শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে মুন্সীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় পেছন থেকে একটি কার্গো জাহাজ লঞ্চটিকে ধাক্কা দিয়ে ভাসিয়ে ৫০ ফুট দূরে ব্রিজের নীচে নিয়ে যায়। এতে লঞ্চটি কাত হয়ে ডুবে যায়।
লঞ্চে থেকে সাঁতরে তীরে ওঠা মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা শ্রমিক আলম মিয়া জানান, আমি লঞ্চের পেছনের ছাদে ছিলাম। হঠাৎ দেখি একটি কার্গো জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে আমাদের লঞ্চটিকে ভাসিয়ে ব্রিজের নীচে নিয়ে আসে। পরে লঞ্চটি ডুবে যায় । আমি ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হই। কিন্তু লঞ্চে প্রায় ৫০-৬০ জন যাত্রী ছিল। তদের মধ্যে ১৫-২০ জন হয়ত সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নৌ পুলিশের টিম ও ফায়ার সার্ভিসের টিম নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছে। বিশেষ করে বৃষ্টির কারণে তারা উদ্ধার কাজে নামতে পারছে না।
অন্যদিকে সন্ধ্যার পর থেকেই নদীর তীরে নিখোঁজ স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে আশপাশের পরিবেশ।
ঘটনাস্থল থেকে বন্দর থানা ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, আপাতত একজন নারীকে উদ্ধারের পর হাসাপাতলে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেছে বলে জানতে পেরেছি। রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত ১১ জনকে নদীর তীর থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকি তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারি জাহাজ প্রত্যয় পৌঁছানোর জন্য রওনা দিয়েছে। বৃষ্টি কমলেই উদ্ধার কাজে তৎপর হবে সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply